টফি’ সোস্যাল মিডিয়ার বিশাল শূন্যতা পুরণকরবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৮:১৩ অপরাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়


 দেশে তৈরি বাংলা ভাষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম  ‘টফি’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা  শুরু হয়েছে। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিদেশীয় কনটেন্ট নির্মাতাদের ইউটিউব-এর বিকল্প হিসেবে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আজ বৃহস্পতিবার তার দপ্তর থেকেঅন-লাইনে দেশের প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির উদ্বোধন করেন। মোবাইল কোম্পানি  বাংলালিংক  ডিজিটাল এই প্লাটফর্মটিসত্ত্বাধিকারী। মন্ত্রীএই উপলক্ষ্যে ঢাকায় বাংলালিংক সদর দপ্তরে  আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরবক্তৃতায় এই প্লাটফর্মটিকে বাংলা, বাঙালি, বাংলার কৃষ্টি, জীবনধারা এবং মেধা ওসৃজনশীলতা প্রকাশের একটি অসাধারণ কাজ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশের মেধাবী ওসৃজনশীলদের জন্য প্রকাশ মাধ্যম হিসেবে টফির গুরুত্ব অপরিসীম  এবং বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ একটি  বিষয়। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুস্পষ্ট আদর্শেরউপর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা লাভ হয়েছে উল্লেখ করে বলেন. বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিবিশ্বের ৪০ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের রাজধানী । বাঙালির সংস্কৃতি রক্ষা ওবিকশিত করা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের লক্ষ্য। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা হরফকে অবিকৃতরাখার দীর্ঘ সংগ্রামের বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন. বাংলাদেশ বাংলা ভাষাকে  সুরক্ষা করবে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরাইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে বাংলা হরফ নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়েছি।এর ফলে বাংলা আজ ডিজিটাল প্রযুক্তির উপযোগী ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তিনিবলেন, অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করে আমরা  দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিবিদপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির পথ বেয়ে গত ১২ বছরে সকল পশ্চাদপদতা অতিক্রম করতে কেবলসক্ষমই হইনি আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের  চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার যোগ্যতা অর্জনকরেছি বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন ডিজিটাল প্রযুক্তি যত সম্প্রসারিত হচ্ছেডিজিটাল নিরাপত্তায় তত বেশি চ্যালেঞ্জ আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডিজিটাল প্রযুক্তিরচ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনসহ গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তিনি তুলে ধরে বলেন, ডিজিটালনিরাপত্তা না থাকলে শংকা আরও বাড়তো। তিনি টফিতে  কনটেন্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মেধাসত্ত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করতে সংশ্লিষ্টদের সতর্কতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েবলেন, আমরা মেধার বিকাশ দেখেতে চাই মেধা চুরি নয়। ডাক ওটেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরিতেঅসাধারণ একটি সৃজনশীল উদ্ভাবন উল্লেখ করে বলেন, টফি একটি বিশাল শূন্যতা পুরণেভিনদেশি কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এর বদলে এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের দেশ জাতি ওনিজেদের সংস্কৃতি বিকাশে এগুতে পারবো ।শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের জনক জনাবমোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলালিংক দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে গর্ব করার মতো একটি কাজকরেছে। ইউটিউবসহ অন্যান্য প্লাটফর্মে কপি রাইট যাচাই বাছাই না হওয়ায় কন্টেন্টপাইরেসি হয়। কপি রাইট আইন প্রয়োগ ও কন্টেন্ট প্রদানকারির পরিচয় নিশ্চিত করার জন্যটফি‘র স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটিনিরাপদ প্লাটফর্মের জন্য পরিচয় নিশ্চিত করা উচিৎ। তিনি বলেন, তথা কথিত কমিউনিটিস্ট্যান্ডার্ড এর আড়ালে ভিনদেশীয় সংস্কৃতি প্রভাব থেকে আমাদের নিজেদের সংস্কৃতিসমুন্নত রাখতে হবে।  অনুষ্ঠানেডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন, বিটিআরসি‘র ভাইস চেয়ারম্যানসুব্রত রায় মৈত্র, অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এডিটর্সগিল্ড  বাংলাদেশেরসভাপতি মোজাম্মেল বাবু এবং বাংলালিংক সিইও এরিক অ্যাস বক্তৃতা করেন।  ডাক ওটেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, বছরের পর বছর আমরা বিদেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকরে আসছি। টফি আমাদের নতুন উদ্ভাবন যা ডিজিটাল বাংলাদেশ অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবানকরতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সুব্রতরায় মৈত্র টফির আত্ম প্রকাশকে দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশের একটি  মাইল ফলক বলে উল্লেখ করেন। অঞ্জনচৌধুরী বাংলাদেশের তরুণসমাজের জন্য টফি মেধা বিকাশের একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে বলেআশাবাদ ব্যক্ত করেন।  মোজাম্মেলবাবু দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে এবং ডিজিটাল মুদ্রণ  ও প্রকাশনা জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তণেরজনক এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফ জব্বার -এর দীর্ঘ ৩৫ বছরের অবদান তুলেধরে বলেন, কম্পিউটারে বাংলা প্রকাশনার হাত ধরে কম্পিউটার প্রযুক্তির বিস্তার লাভকরেছে। টফির পথ অনুসরণ করে অন্যরাও  এগিয়ে আসবেন বলে তিনি আশাবাদী। বাংলালিংক-সিইওএরিক অ্যাস বলেন,"দেশের অন্যতম একটি ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরাপ্রযুক্তির সাহায্যে দেশীয় বিনোদন মাধ্যমের বিকাশেও ভূমিকা রাখতে চাই। মূলত এইলক্ষ্য থেকেই টফি অ্যাপটি চালু করা হয়েছে।