বিরিয়ানি খাওয়া বাদ দিয়েছেন রশিদ খান

 প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২১, ০৪:১৯ অপরাহ্ন   |   খেলাধুলা



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাব্য তারকাদের একজন রশিদ খান। এতে অবশ্য বিস্ময়ের কিছু নেই। গত চার বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রশিদের চেয়ে ব্যস্ত ছিলেন না অন্য কোনো ক্রিকেটার। সব ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই আফগান লেগ স্পিনার বাড়তি কদর পান। তাঁর লেগ স্পিন, তাঁর গুগলি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য মহা অস্ত্র। বিশেষ করে যে গতিতে বল করেন রশিদ, সেটাই তাঁকে খেলা কঠিন করে দেয়।


ইএসপিএনের মাসিক ক্রিকেট মান্থলির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজের বোলিং, ক্যারিয়ার, জীবনদর্শন নিয়ে কথা বলেছেন রশিদ। আর সেখানেই তাঁর দ্রুতগতিতে স্পিন করার দক্ষতার পেছনের কারণটা বলেছেন আফগানিস্তানের লেগি। কথাচ্ছলে জানিয়েছেন, কীভাবে নিজের ফিটনেসে নজর দিয়েই বলের গতি বাড়িয়েছেন। আর সে জন্য প্রিয় বিরিয়ানিকে ‘না’ বলে দিয়েছেন।

২০১৭ সালের নিলামে প্রথমবারের মতো আইপিএলে নাম ওঠে রশিদ খানের। আইপিএলে প্রথমবার তাঁকে ৪ কোটি রুপিতে কিনে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সে নিলামের পর রশিদ বলেছিলেন, এত টাকা দিয়ে কী করবেন, এ ব্যাপারে তাঁর কোনো ধারণাই নেই!

সেই রশিদ খান গত চার বছরে বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই দেখা দিয়েছেন। জাতীয় দলের হয়ে সব সংস্করণে খেলার পাশাপাশি এত এত লিগে খেলছেন; সেটাও ভ্রমণক্লান্তিকে পাত্তা না দিয়ে। এর পেছনের রহস্যটা জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে।
মান্থলিকে এ প্রশ্নের জবাবে রশিদ ফিটনেসের কথাই জানালেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ধকল নিতে গিয়ে নিজের মানসিকতা যে বদলে ফেলতে হয়েছে, সেটাই জানিয়েছেন রশিদ, ‘২০১৭ সালের আগে, আমার প্রথম আইপিএলের আগে আমার ধারাবাহিকতা ছিল না। এর পেছনে আমার ফিটনেসই দায়ী। কয়েকটা ম্যাচ খেলার পরই পরের ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল না আমার শরীর। এ কারণেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারছিলাম না। কিন্তু ২০১৭ আইপিএলের পর আমি দেখলাম কীভাবে খেলোয়াড়েরা নিজের যত্ন নিচ্ছেন। এর আগে আমি জিমে যেতাম না বললেই চলে। আফগানিস্তান থেকে এসেছি, যেখানে এমন সুযোগ-সুবিধা নেই, তাহলে ফিটনেস কতটা গুরুত্বপূর্ণ, আপনি বুঝবেন কীভাবে। সেখানে ফিটনেসের চেয়ে ক্রিকেটই বেশি গুরুত্ব পায়।’

কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্য তারকাদের মধ্যে টিকে থাকতে হলে এ চিন্তা থেকে যে সরে আসতে হবে, সেটা বুঝতে পেরেছিলেন রশিদ, ‘এর পর থেকে আমি ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছি। সঠিক অবস্থানে আসতে কয়েক বছর লেগেছে।’
ফিট থাকার জন্য এখন নিয়মিত জিম করেন রশিদ। তবে পেশিবহুল বানানোর চেষ্টা না করে, নিজের শরীরের মূল বিষয়গুলো শক্তিশালী করাতে নজর দেন। এটাই তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে জোরে বল করার ক্ষমতা এনে দিয়েছে।

সে সঙ্গে আরেকটি কাজ করেছেন, নিজের খাবারের প্লেট থেকে প্রিয় কিছু বস্তু সরিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি একসময় অনেক অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতাম, যেমন বিরিয়ানি, রুটি, মিষ্টি। ২০১৭ আইপিএলের পর থেকে সব বাদ দিয়েছি। এখন মূলত বারবিকিউ বা গ্রিল করা খাবার খাই, সঙ্গে সালাদ থাকে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি সেরা হতে চাই এবং নিজের দক্ষতার উন্নতি করতে চাই, আমাকে আরও ফিট হতে হবে। কয়েক বছর ধরে আমি বিরিয়ানি, রুটি ও মিষ্টি খাওয়া একদম বাদ দিয়েছি। মাসে একবার হয়তো খাই, বা যেদিন একটু ফাঁকি দিতে ইচ্ছা করে, সেদিন খাই। কিন্তু নিয়মিত জিম করি। জিম না করলে সেদিন ঠিকভাবে খেতে পারি না।’