টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের ধবলধোলাই; টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় ২-১ ব্যবধানে

 প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২১, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন   |   খেলাধুলা


টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের ধবলধোলাই করার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাহমুদউল্লাহবাহিনীর জয় এলো ২-১ ব্যবধানে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে দুই উইকেটে হারায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের কাছে ২৩ রানে হেরে যায় টাইগাররা। তৃতীয় ম্যাচে পাঁচ উইকেটে জিতে টি-টোয়েন্টি নিজেদের করে নেয় সফরকারীরা।বোলারদের ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ে রানের পাহাড় গড়ার পরও ব্যাট হাতে সৌম্য সরকার আশা দেখাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে।  কিন্তু মাঝে টানা উইকেট পতনের পর ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। তবে শেষদিকে মাত্র দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা তরুণ শামীম হোসেনের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
এর আগে হারারেতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্বাগতিকরা। ওপেনার ওয়েসলে মাধেভেরের ৫৪, রেগিস চাকাভার ৪৮, তিদওয়ানশে মারুমানির ২৭, ডিওন মায়ার্সের ২৩ ও শেষদিকে রায়ান বার্লের অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ১৯৩ রান তুলেছে দলটি। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।  সফরকারীদের হয়ে সৌম্য সরকার দুটি, সাকিব আল হাসান, সাইফুদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।১৯৪ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকারের ৬৮, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৩৪ ও শামিম পাটোয়ারির অপরাজিত ৩১ রানের সুবাদে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লক্ষে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।ম্যাচ ও সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সৌম্য সরকার।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ২০ রানের মাথায় ওপেনার নাঈম শেখ সাজঘরে ফেরেন ৩ রান করে। বেশিক্ষণ খেলেতে পারেননি সাকিবও। ১৪ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ২৫ রানের ছোট ক্যামিও খেলে তিনিও সাজঘরের দিকে হাঁটেন। তবে বিদায়ের আগে সৌম্যর সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৩২ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫০ রান। এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে লড়াই শুরু সৌম্য সরকারের। সৌম্য ৪৯ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। রিয়াদের সঙ্গে গড়েন ৩৫ বলে ৬৩ রানের জুটি।

আফিফের পর ক্রিজে নামা শামীম হোসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ।  ১৮তম ওভারে রিয়াদ সিঙ্গেল নেওয়ার পর শেষ তিন বলে তিন চার হাঁকান শামীম।  টাইগার দলপতি ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করেন। শেষ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫ রান। শামীম মাত্র ১৫ বলে ৬ চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জয়লাভ করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাদের শুভেচ্ছা বার্তায় খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান।
 রবিবার রাতে তারা পৃথক বার্তায় এই অভিনন্দন জানান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। রবিবার (২৫ জুলাই) এক অভিনন্দন বার্তায়  যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির এ দুঃসময়ে নানা দুঃসংবাদের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ধারাবাহিক এ পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। এ সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ক্রীড়াবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতার ফলে ক্রীড়াঙ্গনে ধারাবাহিক এ সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।  বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম স্পিরিট এবং অসাধারণ দক্ষতায় জাতি আজ গর্বিত। নিরলস অনুশীলনের মাধ্যমে আগামীতেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে জাতির মুখ উজ্জ্বল করবে টাইগাররা।