বুস্টার ডোজ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে জার্মানি ও ফ্রান্স

 প্রকাশ: ০৬ অগাস্ট ২০২১, ০৪:৩১ অপরাহ্ন   |   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আহ্বান উপেক্ষা করে  সেপ্টেম্বর থেকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে জার্মানি ও ফ্রান্স।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের জন্য কাজ করছে ফ্রান্স।  রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়া খুব বয়স্ক ও নার্সিং হোমের বাসিন্দাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ট্রান্সলেট বায়োকে কিনে নেয়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিন তৈরিতে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে সানোফি। বিশেষ করে ফ্রান্সের ওষুধ প্রস্তুতকারক, বিশ্বের এক নম্বর ফ্লুর ভ্যাকসিন উৎপাদক তাদের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রতিযোগিতা করতে চায়। আরএনএ বা রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিডের যে পদ্ধতি, সেটির ক্ষেত্রে দক্ষতা রয়েছে ট্রান্সলেট বায়োর। এ প্রযুক্তিই কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনের জন্য সফল বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নাও এ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে।


করোনা টিকার বুস্টার ডোজ স্থগিত রেখে দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জানিয়েছেন, বুস্টার ডোজ স্থগিত রাখলে এই সময়ের মধ্যে প্রতিটি দেশের অন্তত ১০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এসব জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, উন্নত দেশগুলোতে টিকাদানের হারে অনেক বেশি হলেও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০০ জনের মধ্যে মাত্র দেড়জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। টিকা সরবরাহে ঘাটতি থাকায় দেশগুলো টিকা দিতে পারছে না।
চীনে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। সেই মোতাবেক ইতিমধ্যে টিকা দান শুরু হয়েছে। চীনে করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। চলতি বছরের শেষ নাগাদ যেন দেশটির ৮০-৮৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসে। তবে এখন পর্যন্ত কত শতাংশ মানুষ এর আওতায় এসেছেন তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও সরকারি হিসাব বলছে, এরইমধ্যে ১৬০ কোটি ডোজ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে।


কভিডের ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়ায় মার্কিন সংস্থাগুলো বিভিন্নভাবে কর্মীদের টিকা নিতে উৎসাহিত করছে। বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগ সংস্থাগুলোর একটি ভ্যানগার্ড কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা নেয়া মার্কিন কর্মীদের ১ হাজার ডলার করে বোনাস দিচ্ছে। এমনকি মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের টিকা নিতে বাধ্য করছে। 


গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেইজ থেকে এক স্ট্যাটাসে দেশবাসীর উদ্দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থা করেছে সরকার, এখন নিজের পরিবারকে বাঁচাতে টিকা নেওয়ায় দায়িত্ব আপনার।করোনার টিকা নিন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, অর্থনীতিকে সমুন্নত রাখুন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ভ্যাকসিন আমদানি করেছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব দেশের প্রতিটি নাগরিককে টিকার আওতায় আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।


 গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন,  চীনের সিনোফার্ম থেকে সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা কিনছে সরকার। এছাড়াও কোভ্যাক্সের বাইরে চলতি মাসে বিভিন্ন উৎস থেকে ক্রয় করা টিকাও দেশে আসবে।ইতিমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে দেড় কোটি ডোজ টিকার দাম। বিশ্ব ভ্যাকসিন জোট কোভ্যাক্সের আওতায় চলতি মাসেই দেশে ৪৪ লাখ টিকা আসবে। এর মধ্যে আগামী সপ্তাহে আসছে সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ডোজ। আগামী এক মাসের মধ্যে দেশে আসবে ১ কোটি ৪ লাখ ডোজ টিকা। ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দেশে গণটিকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বুধবার জানানো হয়, টিকার সংকটে এই কর্মসূচি বন্ধ করা হয়েছে।  বাণিজ্যিক চুক্তির পাশাপাশি যৌথভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা উৎপাদনে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।







বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর: