বিধিনিষেধের আওতার বাইরে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারসহ আইটি পণ্য সরবরাহ ও সল্যুশনের পণ্য সরবরাহ

 প্রকাশ: ০৫ অগাস্ট ২০২১, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন   |   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধে যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, খাদ্য, শিক্ষা, গণমাধ্যমসহ এসব খাতকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখছে। কিন্তু বিধিনিষেধের কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এসব কার্যক্রম সচল রাখতে তথ্যপ্রযুক্তির সব সেবা অনলাইনে দেয়ার ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ই-কমার্স ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকলেও হার্ডওয়্যার খাত এই প্রথম লকডাউনের আওতামুক্ত হলো। তথ্যপ্রযুক্তিখাতকে জরুরি সেবাখাতের আওতায় এনে বিধিনিষেধ চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারসহ আইটি পণ্য সরবরাহ ও সল্যুশনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তিখাতকে জরুরি সেবাখাতের আওতায় আনা হয়েছে জানিয়ে চলমান বিধিনিষেধে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারসহ আইটি পণ্য সরবরাহে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের সমস্যা হলে তা সল্যুশনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র যাচাই করে চলাচলের অনুমতি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।   এ সংক্রান্ত চিঠিটি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার, দেশের সব জেলা প্রশাসক ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর পাঠানো হয়েছে।বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিসিএসের আবেদনে সাড়া দেয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরকে (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি।  
চিঠিতে বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্ভিসগুলো চালু রাখতে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পণ্য সরবরাহ ও সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত জনবলের চলাচলের অনুমতি দিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

বিসিএস মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বিসিএস সদস্যদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি ও করোনা মহামারি সংক্রান্ত অন্যান্য সব সরকারি নির্দেশনা মেনেই ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুরোধ করছি। এই ঘোষণার অপব্যবহার করে যেন আমাদের এই অর্জনকে আমরা ম্লান না করে ফেলি এ ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।

আগামী ১০ আগস্ট এর পর লকডাউন না বাড়তে পারে বলেই মনে হচ্ছে।  সরকার চাইছে সবাইকে টিকার আওতায় আনতে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে টিকা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। এই বছরের মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে।বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আমদানি অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ থেকে ১৪ আগস্ট সারা দেশে ১৪ হাজার টিকা কেন্দ্রে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। গণটিকা কর্মসূচি সফলভাবে সমাপ্ত করতে দলের নেতা-কর্মীদের সারা দেশে প্রচার চালাতে নির্দেশ দেন। নিজে টিকা নিতে হবে, মানুষকে টিকা নেওয়ার জন্য উদ্ভুদ্ধ করতে প্রচারণা চালাতে হবে। এটা আমাদের দলের নেত্রীর নির্দেশ।


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে ১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী কোনও নাগরিক টিকা নেয়া ছাড়া বাইরে বের হলে শাস্তির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বুধবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। অন্যদিকে ১১ আগস্টের পর থেকে টিকা ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ বের হতে পারবেন না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রত্যাহার করে নিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।গতকাল মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘অবশ্যই সবাইকে টিকা নিতে হবে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের বেশি কেউ চলাচল করলে তাকে সাজার আওতায় আনা হবে। মন্ত্রী বলেন, আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। যেহেতু সংসদ বন্ধ তাই আইন পাস করা সম্ভব নয়।’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর: