বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে ধরনী থেকে মুছে ফেলতে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন,১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে ধরনী থেকে মুছে ফেলতে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ খুনিরা জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরিরা একদিন লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী অশুভ শক্তি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করবে।যার জ্বলন্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি তার সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সময় বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আজ ১৭ অক্টোবর, ২০২১ (রবিবার) সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর,৩২ ধানমন্ডি, ঢাকায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুনিরা কি করে পারল শেখ রাসেল কে হত্যা করতে? খুনিরা কিভাবে গুলি করেছিল শেখ রাসেল কে? ছোট্ট রাসেলের কান্নায় একবার মায়া হয়নি তাদের? খুনিরা তো এই সমাজেরই লোক ছিল। তাদেরও তো পরিবার ছিল, সন্তান ছিল। রাসেলের মত সন্তান তাদের ঘরেও ছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করার পরেও কেন শিশু রাসেল কে হত্যা করলো? কিন্তু কি অপরাধ করেছিল রাসেল? কেন রাসেল কে হত্যা করা হলো?
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কোনো সভ্য দেশে হত্যার বিচার হতে পারবে না- এমন জঘন্যতম আইন পাশ হতে পারেনা। কিন্তু কি অদ্ভুত, এই আইনটি সেদিন বাংলাদেশে পাশ হয়েছিল! বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা বেঁচে ছিলেন বলেই আমরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার পেয়েছি। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথে হাটছে বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলের জন্মদিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা পবিত্র সংসদে যারা ‘ইনডেমনিটি’ আইন পাশ করেছিল, যারা এই আইনকে সমর্থন করেছিল এবং যারা ইতিহাস বিকৃত করেছিল তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গনতন্ত্র ও উন্নয়নের চিহ্নিত শত্রু। তাদের বিচারের ব্যবস্থা করে আইনের শাসন ও ন্যায্য বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি অধ্যাপিকা শিরিন আক্তার মঞ্জু এর , সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও দোয়া মাহফি্লে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুযোগ্য সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সাধারণ সম্পাদক মুনিরুজ্জামান জুয়েল প্রমুখ।