ক্যান্সারে আক্রান্ত যুবকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী ইরাদত আলী

খন্দকার রবিউল ইসলাম (রাজবাড়ী) : মোঃ গোলাম কবির মাসুদ ২সন্তানের জনক মাত্র (৪৩) বছর বয়য়েই শরীরে বাসা বেধেছে কোলন ক্যান্সারের মত মরণ বেধি রোগ।দীর্ঘদিন কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না তিনি।মূলত ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজন হয় কেমোথেরাপির।কিন্তু একটি কেমোথেরাফির নিতে খনচ হয় ৩০ হাজার টাকা।যা তার মত সল্প আয়ের মানুষের পক্ষে যোগার করা অসম্ভব।তার মূলত প্রয়োজন ৪টি কেমোথেরাপির। যার মূল্য ১লক্ষ ২০হাজার টাকা।
নিজের চিকিৎসার টাকা যোগার করতে দিশে হারা হয়ে পরেনে গোলাম কবির।অন্যদিকে সংসার চালানোর মত কোন ব্যবস্থাও ছিল না তার।সংসারে উপার্জন করার মত একমাত্র তিনিই ছিলেন।এমন অবস্থায় তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি ও দপ্তর সম্পাদক মোঃ ফজলুল হক আবুর কাছে তার সমস্যার কথা বলেন। পরে তারা ঐ যুবকের সমস্যার কথা রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর কাছে জানান।ঐ যুবকের ক্যান্সারের কথা শুনে সাথে সাথে কাজী ইরাদত আলী তার চিকিৎসার দায়ীত্ব নিয়েছেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, রাজবাড়ীবাসীর ভালোবাসার নয়নমনি গরীব দুঃখী মানুষের বন্ধু জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী। নিরবে নিভৃতে গরীব দুঃখী অসহায় মানুষকে গোপনেও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন এটি তার অন্যতম একটি গুনাবুলি।ক্যান্সার রোগীর কথা তাকে বলারর সাথে সাথেই তিনি তাকে নিয়ে আসতে বলেন।দরিদ্র যুবকের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ১লক্ষ ২০হাজার টাকার দিয়ে ৪টি কেমোথেরাপির ব্যবস্থা করেন তিনি।কিছু দিন আগেও একজন অসহায় মহিলাকে একটি সেলাই মেশিন দিয়েছেন তিনি।যা আমার হাত দিয়েই দিয়েছি।এভাবে সহায়তা দিয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি তা আমার মনের খাতায় লেখা থাকবে আজীবন।কাজী ইরাদত আলী মানুষের ভালোবাসা নিয়ে নতুন স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাবে রাজবাড়ী।তার এমন সেবার মাধ্যমেই গড়ে উঠবে মানবিক রাজবাড়ী।তিনি আরো বলেন এছাড়ও কাজী ইরাদত আলীর ব্যাক্তিগত চালু করা হয়েছে একটি হট লাইন নাম্বার। যে নাম্বারে ফোন করলেই দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা।জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে প্রতিনিয়ত অসহায় গরীব মানুষ খাদ্য সহযোগিতা পাচ্ছে।
এবিষয়ে অসহায় মানুষের বন্ধু দানবির মানবতার ফেরিআওয়ালা রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।তাছাড়াও ইসলাম সব সময় ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। অসহায় অসচ্ছল মানুষের সেবায় এগিয়ে আসা ইসলামে অন্যতম ইবাদত। আল্লাহ যাকে অর্থ-সম্পদ দিয়েছেন তিনি সে সম্পদ থেকে অভাবী মানুষকে সাহায্য করলে তাতে আল্লাহতায়ালা খুশি হন। যে কারনেই আমি চেষ্টা করি মহান আল্লহর দেওয়া অর্থসম্পদ থেকে অসহায় মানুষের জন্য কিছু করার। যতুটু পারি নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি।ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলেটি বিষয়ে আমাকে পৌর আওয়ামী লীগের নেতা শফি ও আবু জানায়। পরবর্তীতে আমি ঐ যুবককে নিয়ে আসতে বলি।পরে ১২আগস্ট এ ক্যান্সার আক্রান্ত যুবককের অসুস্থতার কাগজ পত্র দেখে ৪টি কেমোথেরাপির ব্যবস্থা করেছি। আমরা যদি অসহায় মানুষের পাশে না দাড়াই তাহলে এই মানুষ গুলি হয়তো বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে। আজকে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলেটি যদি টাকার ভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে মারা যায়।তাহলে কিন্তু শুধু সেই মারা গেলো এমনটা নয় তার একটি পরিবারের মৃত্যু হবে।স্ত্রী সন্তান যেন বেচেঁ থাকতেই মরে যাবে।তাই আমি একটি পরিবারকে বাচানোর চেষ্টা করেছি মাত্র বাকি আল্লাহর হাতে।
আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য নাজমূল হাসান মিন্টু সহ একাধীক নেতাকর্মীরা বলেছেন, সবার সুখে হাসব আমি কাঁদব সবার দুখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দিব ,অনাহারীর মুখে। রয়েছে কবি,র কবিতার ভাষার সাথে মিল।সবার সুখই তার সুখ, সবার দুঃখই তার দুঃখ এমন মানুষ গুলোই তো প্রকৃত মানুষ ও প্রকৃত সেবক।রাজবাড়ীতে একজন আদর্শ বান ব্যক্তি, জেলার সাধারণ মানুষের কাছে তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খুব পরিচিত। ফেরিওয়ালা যেমন হরেক রকম পন্য নিয়ে ছুটে চলে মানুষের দরজায় – দরজায়, হয়তো তিনি এমন ভাবে সকলের দরজায় যেতে পারেন না।কিন্তু তার হয়ে তার কর্মীসর্থকরা ঠিকই তার দেওয়া সহযোগিতা নিয়ে যার যেমন সেবা প্রয়োজন তাই নিয়ে হাজির হয়ে যান মানুষের ঘরের দরজায়। তিনি হলেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী।তিনি ব্যক্তিগত ভাবে খুব হাস্যজ্বল, সৎ, সাহসী , বিনয়ী এবং সর্বপুরি পর উপকারী একজন মানুষ।যেখানেই অসহায় মানুষ সেখানেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। অসহায় নিরীহ মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন,নেই কোন তপাত রাত কিংবা দিন, নেই কোন ধর্ম, নেই কোন দল বেদল, গরিব কিংবা ধনি ছুটে চলেন মানব কল্যানে।করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিজেকে মানুষের সেবায় রেখেছেন নিয়োজিত । করোনায় কর্মহীন মানুষের মুখে তুলে দিয়েছে খাদ্য, ফোন পেলেই খাদ্য পাঠিযেছেন মানুষের বাড়িতে।এভাবে নিজেকে মানব কল্যানে উৎসর্গ করেছেন নিজেকে। বিশ্ব মহামারী করোনার এই সংকট ময় সময়ে চালু করেছেন ফ্রি অক্সিজেন ও এম্বুলেন্স সেবা। এ ভাবে সেবা দিতে দিতে এক সময় তিনিও আক্রান্ত হন করোনায় আল্লাহর দয়ায় ও মেহনতী মানুষের এবং এই রাজবাড়ীর বাসীর দোয়ায় সুস্থ হয়ে আবার ও ছুটে চলা মানব সেবাই, এটাই প্রকৃত সেবা, কোন অর্থ নয়, কোন স্বার্থ নয়, মানুষ সেবার মাঝে খুজে পায় নিজের সুখ।তিনিই সবার প্রিয় মুখ কাজী ইরদাত আলী।