ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখে চলা সজীব ওয়াজেদ জয় এর জন্মিদন আজ

 প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২১, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন   |   রাজনীতি


তারুণ্যের প্রতিনিধি, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্য কারিগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর  ৫১তম জন্মদিন আজ। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে অবরুদ্ধ ঢাকায় বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। জয় নামটি রাখেন তার নানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছেন, শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন উন্নয়নের সম্রাজ্ঞী হিসেবে, আর জয় হলেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্পের কান্ডারি।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আলোর যে মশাল জ্বালিয়ে রেখে গিয়েছিলেন তার সুযোগ্য উত্তরসূরি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আওয়ামী লীগ নিষ্ঠার সঙ্গে তা বহন করে চলেছেন।
 ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। পেশাদার তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা। 
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়-এর ৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত স্মারক ডাক টিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিল মোহর অবমুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  


 বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সব কাজই ছিল নীরবে-নিভৃতে। তিনি ছিলেন রাজনীতি থেকে দূরে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নেই তিনি সদা ব্যস্ত থেকেছেন। বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যে গতিতে উন্নয়ন ঘটছে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ। কানেকটিভিটির মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলকে আলোকিত করে তোলা হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষক আজ কম্পিউটারের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে তুলছেন। ছাত্রছাত্রীরা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করছেন, পরীক্ষার রেজাল্ট দেখছেন, ইন্টারনেট ও মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিল পরিশোধ, টেন্ডার জমা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে এমন কিছু নেই যা করতে পারছেন না। গ্রামের একজন কৃষক মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন কৃষি কাজের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারছেন।এমনকি আজ মোবাইল ব্যাংকিং, এটিএম ব্যাংকিং, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহের মতো কাজও জনপ্রিয় হয়েছে। কলসেন্টারের মাধ্যমে হাজার হাজার তরুণের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গড়ে উঠছে আইটি সিটি, আইটি পার্ক। 

জয় বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন সিলিকন ভ্যালির বীজমন্ত্র- উচ্চ প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, উদ্যোগ পুঁজি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আমাদের আইসিটিশিল্প তার নেতৃত্বে সমৃদ্ধতর হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।সজীব ওয়াজেদ জয়ের আদর্শিক প্রতিশ্রুতি আর অদম্য তৎপরতায় ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভই শক্তিশালী হচ্ছে। আর তাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০১৬’ অর্জন করেন।

 ডিজিটাল বাংলাদেশ তারই মানস শিশু যার লক্ষ্য হলো ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করা। জয় একজন বড় স্বপ্নদ্রষ্টা এবং কীভাবে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে হয় তা ভালো করেই জানেন।  গত এক দশকে বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত উন্নতিতে একটি বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে, যার মধ্যে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা, জনসেবাতে ডিজিটাল প্রবেশাধিকার, মোবাইল ব্যাংকিং এবং তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক রপ্তানি উল্লেখযোগ্য। 

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জয় ভারতের ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। আরও কিছু শেখার আগ্রহ থেকে পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে আরও একটি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কেনেডি  স্কুল অব গভর্নমেন্ট’ থেকে জনপ্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৪ সালে যখন অরাজক পরিস্থিতিতে দেশ, তখন তিনি বাংলাদেশে আসেন। মূলত তখন থেকেই তার নেতৃত্বের পথে হাঁটা শুরু। 


বাংলাদেশ থেকে প্রথম কোনো ব্যক্তি হিসেবে ২০০৭ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল ইয়ং লিডার’ হিসেবে নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি সম্মানজনক ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট’ পুরস্কার অর্জন করেন। ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস, প্লান ট্রিফিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট এবং কানেক্টিকাটের ইউনিভার্সিটি অব নিউ হেভেনের স্কুল অব বিজনেস যৌথভাবে তাকে এ পুরস্কার প্রদান করে। 

.
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে দেশের বাইরে থাকায় সৌভাগ্যক্রমে মা-খালার সঙ্গে প্রাণে বেঁচে যান সজীব ওয়াজেদ জয়। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ইউরোপ ছেড়ে মা শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতে আশ্রয় নেন জয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের শৈশব-কৈশোর কেটেছে ভারতে।  ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন জয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছেন।

জয় দেশে থাকলে প্রতিবছর তার জন্মদিনে মা শেখ হাসিনা নিজে রান্না করে খাওয়ান তাকে। পাশাপাশি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে কেক কেটে তার জন্মদিন পালন করা হয়। কিন্তু এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটের কারণে জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে সীমিত কর্মসূচি আয়োজিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঘরোয়া পরিবেশে জয়ের জন্মদিনের কেককাটার কথা রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পরিবারের সদস্যরা থাকবেন।

এছাড়া জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আজ সকাল ১১টায় ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান ডিজিটাল প্রযুক্তি: পথিকৃৎ মুজিব হতে সজীব’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। যুবলীগের উদ্যোগে আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ছাড়াও সারাদেশের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া-প্রার্থনা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

রাজনীতি এর আরও খবর: