মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে মনিটরিং জোরদার হবে

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অযথা মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে খুলনায় মনিটরিং জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মার্চ মাসের সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, খুলনার দাকোপ উপজেলায় কৃষকের কাছ থেকে সারের দাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি রাখার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। সমাজসেবা দপ্তরে জটিল রোগের চিকিৎসা ব্যয়ের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রতিমাসের শুরুতে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠাতে হবে। এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সবার জন্য সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ ২২ হাজার জনকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ, ১৬ লাখ ব্যক্তিকে দ্বিতীয় ডোজ এবং এক লাখ ৯০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান সভায় বলেন, দাকোপ ও কয়রা উপজেলায় নদীর সাথে খালগুলোর প্রবেশ পথে স্লুইস গেটগুলো কার্যকর রাখা প্রয়োজন। সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনের অভাবে গত বছর বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়েছিল। দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় উৎপাদিত তরমুজ সহজে পরিবহনের জন্য ওই এলাকার ফেরিঘাটগুলো অধিক কার্যকর রাখা প্রয়োজন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম বলেন, ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় গত মাসে খুলনা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নয়টি তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট তিন লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. মারুফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছা. শাহানাজ পারভীনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।