জীবন-জীবিকার স্বার্থে লকডাউন শিথিল : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি
গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের পূর্ত কাজ বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মধ্য চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন. মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে সরকার লকডাউন শিথিল করছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে। যেকোনো মূল্যে সড়কে-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
গণপরিবহন চলাচলে করোনা পূর্ববর্তীকালে যে ভাড়া ছিলো সে ভাড়ায় চলবে। এসময় তিনি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং জনস্বার্থে স্টেক হোল্ডার ও মালিক শ্রমিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এবিষয়ে বিআরটিএকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে , সরকার পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচলের নির্দেশ দিলেও শতভাগ গাড়ি চলাচলের অনুমতি চেয়েছে মালিক সমিতি। ।
এতে বলা হয়েছে আগামী ১১ আগস্ট থেকে গণপরিবহন চলাচল করার অনুমতি দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যাতে গাড়ির আসন সংখ্যার সমান সংখ্যক যাত্রী অর্থাৎ যত সিট তত যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকাসহ দেশের সব পরিবহন মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মালিক সমিতি সরকারের নির্দেশনা মেনেই বর্ধিত ভাড়া না নিয়ে আগের ভাড়ায় গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলাচল করবে এক্ষেত্রে এক মালিকের কয়টি গাড়ি আছে বা কতটি গাড়ি চলাচল করছে দেশব্যাপী, এ বিষয়টি নির্ণয় করা একদিকে যেমন কঠিন, অন্যদিকে শ্রমিকরাও বেকার থাকবে।
আজ সোমবার (৯ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার ঘোষণা থাকলেও ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র আগেই জানিয়ে দেয়, কাউন্টারে ৫০% ও অনলাইন ও অ্যাপে বাকি ৫০% টিকিট বিক্রি করা হবে।সার্ভার জটিলতার কারণে টিকিট দিচ্ছে না। ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে প্রবেশের পর অনেক টিকিট প্রত্যাশী দেখতে পাচ্ছেন- ‘নো ট্রেন ফাউন্ড।’আবার কমলাপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারে লাইনে যারা দাঁড়িয়ে আছেন তাদেরও টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না সিদ্ধান্ত হয়নি। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানাবে। আগে তো ভ্যাকসিনেশন তারা জোরদার করছে। যেন ছাত্রদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া যায়। সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। সংক্রমণ কমে গেলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সবকিছুই খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বিনোদনকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জমায়েত বন্ধই থাকছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। যেমন বিনোদনকেন্দ্র, জমায়েত, এগুলোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে সেই সঙ্গে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ, অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।