জাপান থেকে এল অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার টিকা, আরও ২১ কোটির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২১, ১০:১৯ অপরাহ্ন   |   জাতীয়



আজ শনিবার (২৪ জুলাই) বেলা পৌনে ৩টায় টিকা নিয়ে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাপান সরকারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে দেয়া ২ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ করোনার টিকাগুলো গ্রহণ করেন। এছাড়া আগামী শুক্রবার প্রায় ৫ লাখসহ মোট ৩০ লাখের বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জাপান সরকার দেবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।  এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। টিকার মজুত শেষ হয়ে আসায় প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন এমন কয়েক লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় ছিলেন। জাপান সরকারের উপহার দেয়া এসব টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে সর্বপ্রথম ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকাদান গত ২৭ জানুয়ারি শুরু হয়। ইতিমধ্যে ৫৮ লাখের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ এবং ৪৯ লাখের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আরও ২১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।


টিকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখের কাছাকাছি মানুষ ভ্যাকসিনেটেড হয়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে নন-ভ্যাকসিনেটেড রোগী হলো ৯০ শতাংশ। ফলে ভ্যাকসিন না নেয়ার কারণেই তারা সংক্রমিত হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর ৭৫ শতাংশই গ্রামের এবং তারা ৯০ শতাংশই নন-ভ্যাকসিনেটেড এবং সবই বয়স্ক লোক। আমরা যদি গ্রামগঞ্জে বয়স্ক লোকদের গুরুত্বের সাথে ভ্যাকসিন দিতে পারি, ভ্যাকসিন সেন্টারে তাদের নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আমাদের রোগী সংখ্যা এবং মৃত্যু সংখ্যা কমবে।আমরা যে বিভিন্ন দেশে অর্ডার করেছি এবং প্রতিশ্রুতি পেয়েছি, তার সংখ্যা কিন্তু অনেক। এক কথায় বলতে গেলে ২১ কোটি টিকা। এর মধ্যে ৩ কোটি চায়না, ৩ কোটি অ্যাস্ট্রোজেনেকা, ৭ কোটি কোভ্যাক্স, ১ কোটি রাশিয়া এবং ৭ কোটি আসবে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। আমরা মোট ২১ কোটির ব্যবস্থা করেছি। সেগুলো দিলে আমাদের ৮০ শতাংশ মানুষ কাভার হয়ে যাবে। যদি এগুলো আমরা সময় মতো পাই, তাহলে বাংলাদেশ কোনো দেশ থেকে পিছিয়ে থাকবে না।স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি আমাদের টিকার দিকে নজর দিতে হয়েছে। আশপাশের দেশগুলোর আগেই আমরা টিকা পেয়েছিলাম। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি টিকার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। সেখান থেকে আমরা মাত্র ৭০ লাখ পেয়েছি। ৩০ লাখ উপহার হিসেবে পেয়েছি। সব মিলে এই ১ কোটি টিকা পেয়েছিলাম। চুক্তি ছিল ৩ কোটি, কিন্তু আজও তা পাইনি। আমরা অন্যান্য সোর্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, সফলও হয়েছি। ’

জাতীয় এর আরও খবর: