শীতের নতুন কাপড়ের দাম বেশি তাই পুরাতন গরম কাপড় সংগ্রহ ব্যস্ত মধ্যবিত্ত গরীব সাধারণ ক্রেতা

যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার এখনো জেঁকে বসেনি শীত,দেখা দেয়নি শীতের তীব্রতা। দিনের বেলায় এখনো যথেষ্ট গরম,রাতে ও সকালে হালকা শীত। দিনের রোদে সারাদিন গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই হালকা শীত অনুভুত হয়। রাত বাড়ার সাথে সাথে শীতের তীব্রতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়।
প্রতি বছর শীতের মৌসুমে তাইওয়ান, কোরিয়া ও জাপান থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কয়েকশ’ কোটি টাকার শীতের কাপড় আমদানি করা হয়। মূলত সোয়েটার, জ্যাকেট, কার্ডিগান, বেবি স্যুটসহ অন্তত ৫০ রকমের কাপড় আমদানি করা হয়।
তিন পার্বত্য জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজারে আগেভাগেই শীতের কাপড়ের অর্ডার দেয়া শুরু করেছেন।
তাই শীত জেঁকে বসার আগেই পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে গরম কাপড়ের বেচা-কেনা শুরু করেছে গতবছর করোনায় কর্মহীন ফুটপথের ব্যবসায়ীরা। শীত কম থাকায় এখনো পুরোপুরি বেচাকেনা শুরু না হলেও কেশবপুর আবু হোসেন আজাদ মার্কেটে গরম কাপড়ের দোকানগুলো পুরাতন কাপড়ের পসরা নিয়ে বসে গেছে। তবে দোকানগুলোতে এখনো ক্রেতাদের তেমন একটা ভীড় দেখা মেলেনি।
এদিকে শিশির ভেজা সন্ধ্যা রাত আর সকালে হালকা শীত,আবার দিন হলেই রোদের গরম তাপ অনুভূত হবার কারণে শীত আর গরমের মাঝে দেখা দিচ্ছে স্বর্দী, কাশি সহ ঠান্ডা জনিত রোগ। তাইতো শীতের তীব্রতা দেখা দেয়ার আগেই এবছর পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে অনেকেই গরম কাপড় সংগ্রহ করছেন । নতুন কাপড়ের দাম বেশি তাই পুরাতন গরম কাপড় সংগ্রহ করতে ঝুকছেন অধিকাংশ মধ্যবিত্ত গরীব সাধারণ ক্রেতা।
শহরের অভিজাত দোকানগুলোতে এখনো শীতের কাপড়ের জন্য ক্রেতার উপস্থিতি দেখা না গেলেও ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে অনেকেই উঁকিঝুকি দিচ্ছেন কেউ নিচ্ছেন কেউবা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। তবে প্রতিবারের ন্যায় এবারেও শীতের শুরুতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক কারিগররা।
গরম কাপড় কিনতে আসা মোন্নাফ মন্ডল জানান,সামনে যে কোন সময় শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে এ জন্য আগে ভাগেই গরম কাপড় সংগ্রহ করছেন তিনি। পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী আনোয়ার বলেন,গত বছর করোনার কারনে শীতে ব্যবসা তেমন ভালো হয়নি,তবে এবারে বেচা-কেনা ভালো হবে এমনটিই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।