দৈনন্দিন টিকার প্রোগ্রাম চলমান থাকবে

টিকা নিয়ে মানুষ সুরক্ষিত হয়। সংক্রমণ থেকে পুরোটা সুরক্ষিত হবে তা নয়। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব রজায় রাখতে হবে। কারণ টিকা নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি হতে সময় লাগে।
৭ আগস্ট থেকে চলছে করোনার গণ টিকাদান কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আওতায় টিকা পেয়েছেন দেশের ৩০ লাখের বেশি মানুষ। টিকার কার্যক্রম যে বেগে চলছে সেটা বজায় রাখতে পারব। চলতি মাসের ১৫ আগস্টের মধ্যে ৫৪ লাখ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। চীন থেকে কেনা ১০ লাখ টিকা পৌঁছাবে এবং আরও ১০ লাখ চীন থেকে আমাদের উপরহার হিসেবে দেবে। মোট ৫৪ লাখ টিকা আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে আমরা পেয়ে যাব। চীনের সঙ্গে আলোচনা করে আরো ছয় কোটি টিকার অনুমোদন সরকার দিয়েছে। চীনও সেই অনুমোদন দিয়েছে। এখন আমরা চুক্তির পর্যায়ে আছি। অর্থনৈতিক কমিটিতে গিয়ে পাস হয়ে যাবে। এই টিকা আসলে টিকা কার্যক্রম অনেক জোরদার হবে। ভারতের কাছে যে টিকা রয়ে গেছে তা পাওয়া যাবে। চীন সেপ্টেম্বরে এক থেকে দেড় কোটি টিকা, অক্টোবরে দুই কোটি ৩০ লাখ ও নভেম্বরে দুই কোটি ৩০ লাখ দেবে। ফাইজারের টিকাও পাওয়ার কথা ৬০ লাখ। জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা আগামী বছরের মাঝামাঝি আসবে। গণটিকা কার্যক্রম শুরুর দিন থেকে গ্রামে মানুষ টিকা নিয়েছে। যেভাবে নির্বাচনের সময় লোকে আসে, লাইনে দাঁড়িয়ে, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে টিকা নেয়। প্রতিটি ইউনিয়নে ৬০০ করে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আমরা দেখলাম যে তার থেকে অনেক বেশি লোক এসে হাজির হয়েছিলেন।
নিবন্ধন করেও এসএমএস পাচ্ছে না কেন— সে প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কারণ টিকা হাতে থাকলে মেসেজ যেতে থাকবে।টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে মেসেজ দেওয়া হয়। সামনে টিকা বেশি করে আসবে, তখন আরো বেশি করে মেসেজ যাবে। টিকা হাতে এলে যে পরিমাণ লাগে ক্যাম্পেইন করতে, সেটা পেলেই এভাবে টিকা দেব। নরমাল টিকার কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমাদের হাতে যে টিকা আছে দৈনন্দিন টিকার প্রোগ্রাম চলমান থাকবে।
বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রমে সহায়তাকারী সর্ববৃহত দাতা দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিগত পাঁচ দশক ধরে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে কাজ করে আসছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা হিসেবে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে আরো ১১.৪ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, ঐতিহাসিক আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যানের মাধ্যমে দেওয়া এই বর্ধিত অনুদান বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমাদের দেওয়া চলমান সহায়তারই অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়ার এই সহায়তা জীবন-রক্ষাকারী মেডিক্যাল সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সরবরাহ এবং দেশজুড়ে কার্যকর কোভিড-১৯ টিকা প্রচারাভিযানের জাতীয় প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে কোভিডের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া কোভিড-১৯ সহায়তার মধ্যে ৫৫ লাখ ডোজ মডার্না টিকা এবং দেশব্যাপী জাতীয় টিকা প্রচারাভিযান কার্যক্রম পরিচালনার সামর্থ্য বাড়াতে সহায়তা করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার মহামারির শুরু থেকে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রমে সহায়তা করতে নতুন এই তহবিলসহ মোট ৯৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে এবং বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে।