স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই : স্বাভাবিক চিত্র রাজধানীতে

 প্রকাশ: ০৭ অগাস্ট ২০২১, ০৮:১৫ অপরাহ্ন   |   লাইফস্টাইল



করোনাভাইরাস মহামারীর দেড় বছরে এখনই সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা পার করছে বাংলাদেশে।  দীর্ঘদিন পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১১ আগস্ট থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত ও গণপরিবহন সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষের আগেই রাজধানীর চিত্র পাল্টে গেছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর লকডাউনে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছুটির দিন শুক্রবারের চেয়ে রাস্তায় ভিড় বেড়েছে।রাস্তায় গড়ি চাপ গত কয়েকদিনের মতোই বেশি। পাড়া মহল্লার দোকানপাটও স্বাভাবিক সময়ের মত খোলা।তবে দিন যত যাচ্ছে, রাস্তাঘাটে মানুষও তত বাড়ছে, জীবিকার তাগিদে মানুষ আর বিধিনিষেধ মানতে চাইছে না।

ফকিরেরপুল গরম পানির গলির এক বাসিন্দা  বলেন, “যে সংখ্যার মানুষজন রাস্তার ফুটপাতে দেখা যায়, রাস্তায় প্রাইভেট যেভাবে বেড়েছে তাতে এই লকডাউন দেওয়ার কোনো মানে নেই। ”
সাধারণ মানুষের চলাফেরা প্রায় স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো হয়ে গেছে। প্রধান সড়কে শুধু গণপরিবহণ ছাড়া প্রায় সব গাড়ির চলাচলে বোঝাই যাচ্ছে না দেশে লকডাউন চলছে।গণপরিবহন না থাকলেও প্রধান সড়কগুলো ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশার দখলে রয়েছে। কয়েকটি সিগন্যালে তীব্র যানজটও চোখে পড়েছে।


অফিসে আনা-নেওয়া করা এক সিএনজি চালক বলেন,  আবার রাজধানীতে আগের চিত্র ফিরে এসেছে। আজকে আমার প্রতিটি জায়গায় যানজটে পড়তে হয়েছে।’কেন বের হয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি একজন বললেন.  ‘প্রয়োজনেই বের হয়েছি। কেউ প্রয়োজন ছাড়া তো আর শখে বের হয় না।গাড়ি নেই, কী করবো? মোটরসাইকেল পেলাম, উঠে পড়লাম।’রাজধানীর কোথাও কোথাও পুলিশের চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি করলেও অধিকাংশ চেকপোস্টগুলোতেই আজও চোখে পড়ার মতো তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।এ প্রসঙ্গে শাহবাগ থানার এক পুলিশ পরিদর্শক বলেন, ‘বিধিনিষেধ থাকলেও  সড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই বেশি।তবে আমাদের চেক পোস্টগুলোর তৎপরতা আগের মতোই চলছে’


শনিবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেশন হলে কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ঢাকা শহরে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার করোনাভাইরাসের বেডের মধ্যে এক হাজার বেডও খালি নেই, এই অবস্থায় আমরা আছি। আমাদেরকে নন কোভিড চিকিৎসাও বজায় রাখতে হচ্ছে। নন কোভিড রোগীই আশি ভাগ। পাশাপাশি ডেঙ্গু এসে ঘাড়ে বসেছে,। ভাইয়েরা এখন সময় এসেছে রোগী কমানোর। করোনা রোগী কমানোর। হাসপাতালের বেড বাড়ানো নয়, রোগী কমানোর সময় এসেছে।আমরা টিকাকে গ্রামে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। গ্রামের দরিদ্র বয়স্ক লোক যারা আছে তারা অনেকের মধ্যেই আগ্রহ কম, তাই আমরা টিকা তাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। গ্রামের মুরব্বি, গ্রমের মহিলা, প্রতিবন্ধীদের আগে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।এখন নাগাদ দেড় কোটি জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫০ হাজার জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “টিকার ব্যবস্থা আমরা প্রতিনিয়ত বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে আমরা টিকার খোঁজ নেই নাই।

অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরে প্রতিশ্রুত উপহারের ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্সের দ্বিতীয় চালানে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স দেশে এসেছে।শনিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে প্রতিশ্রুত উপহারের ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স বেনাপোল বন্দরে ঢুকেছে। বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিনে অ্যাম্বুলেন্সের তিনটি কনসাইনমেন্টের গেটপাশ হয়। প্রতিটি কনসাইনমেন্টে ১০টি করে অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়েছে।এর আগে চলতি বছরের ২১ মার্চ ভারত সরকারের উপহারের প্রথম চালানে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসে।