অনেক ব্যাংকই শিক্ষাবৃত্তি দেয়া শুরু করেছে , ডাচ বাংলা দিচ্ছে না; সঙ্কটে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী

প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দরিদ্র, অসচ্ছল, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে দেশের বেসরকারি ব্যাংকসহ নানান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক (করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি- সিএসআর) কার্যক্রমের অধীনে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে। তাদের মধ্যে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনায় অনন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশন (ডিবিবিএফ)। এসএসসি পরীক্ষায় মেধার সাক্ষর রাখা শিক্ষার্থীদের মাসিক ভিত্তিতে দুই হাজার টাকা করে ২৪ মাস বৃত্তি দিয়ে থাকে ডাচ বাংলা ব্যাংক। এছাড়া শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য আড়াই হাজার টাকা এবং ড্রেসের জন্য দেয় এক হাজার টাকা। আর অনার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বছরে এককালীন দেয়া হয় ছয় হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিমাসে দেয়া হয় আড়াই হাজার টাকা। যা দিয়ে অসচ্ছল কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেন। তবে করোনা প্রকোপ শুরুর পর থেকে বন্ধ রয়েছে তাদের এই কার্যক্রম। প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীদের নভেম্বর দিয়ে ২৩ মাসের বৃত্তির টাকা আটকে আছে।সর্বশেষ ১৯ সালের ডিসেম্বরে টাকা দিছে।
অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকের বৃত্তি কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা দেয়া বন্ধ রেখেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যক্তির কথা বললে তারা জানায়, ডাচ-বাংলা ব্যাংক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য বৃত্তি দেয়। তবে করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তির টাকা দেয়াও বন্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগী এ শিক্ষার্থীরা বলছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। এছাড়া যারা মেসে থাকতেন তাদের ভাড়া ঠিকই দিতে হচ্ছে। অনলাইন ক্লাসের খরচ ও মেস ভাড়ার টাকা তাদের বাসা থেকে নিতে হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় যেহেতু প্রায় সবারই ১ সেশন শেষ বা পরিক্ষা চলমান তাই ১ বছরের টাকা দিয়ে পরবর্তীতে রানিং মাসের টাকা দিলে সমস্যা সমাধান হবে।