দীর্ঘ ১৮ মাস পর খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ফুল দিয়ে বরণ করে নিল শিক্ষার্থীদের

জাকির হোসেন (ফরিদপুর) :
দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে, ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হলো শিক্ষার্থীদের। বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে শ্রেণি কক্ষগুলো। এমই চিত্র দেখা গেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে ধমকে গেছে পৃথিবী, বন্ধ হয়ে গেছে বহু শিল্প কারখানাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ। ধীরে ধীরে সব প্রতিষ্ঠান খুললেও বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইনে ক্লাস চললেও হাজির হয়ে ক্লাস ছিল বন্ধ। তবে করোনা পরিস্থিতি থেকে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর খোলা হলো সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারি বেশ কিছু স্বাস্স্থ্যবিধি রয়েছে যা মেনে চলতে হবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে।
প্রাণ চঞ্চল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবারও প্রাণের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই। প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য প্রাণ চঞ্চল শিক্ষার্থীদের কে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে ফরিদপুরের সালথার ৭৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৪ টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা, ২৬ টি কিন্ডার গার্টেন, ১৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭ টি আলীয়া মাদ্রাসা, ৩টি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সালথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার জীবাংশু দাশ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক খায়রুল বাসার, সালথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজুমান আরা খানম, সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা প্রথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুর রহমান, সালথা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মাহমুদ আশরাফ টুটু, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাংবাদিক মনির মোল্যা প্রমূখ।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানায়, অনেক দিন পর স্কুল খোলায় আমাদের ভাল লাগছে। এখন থেকে আমরা নিয়মিত স্কুলে আসতে পারবো, সবার সাথে দেখা হবে। কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কারনে শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে, আমাদেরও ভাল লাগছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধের আগের চেয়ে উপস্থিতিও খুব ভাল। জরুরী পরিস্থিতিতে আমাদের আই সোলুশন রুমের ব্যবস্থা আছে। আমরা সরকারি সকল বিধি নিষেধ মেনে আমাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবো।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ দিন পর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার উৎসব মুখর হয়ে উঠবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি যেন কঠোরভাবে মানা হয় পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হচ্ছে। সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ঠ সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।