অবশেষে মওকুফ হলো ১৭ মাসের হল ও পরিবহন ফি

করোনা মহামারিতে দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হল ও পরিবহন। কিন্তু পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীদের দিতে হচ্ছিলো হল-পরিবহন ফি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসলে হল-পরিবহন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান মহামারির সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় এবং বিভিন্ন বর্ষে ভর্তির সময় তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন ফি আদায়ের বিষয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
এ প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধকালীন সময় পর্যন্ত পরিবহন, বাসন-কোসন ও আবাসিক হলের সিট ভাড়া খাতে নির্ধারিত ফি সমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে মওকুফ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ইতোমধ্যে ফি আদায় করা হয়েছে তাদের পরিশোধকৃত অর্থ সমন্বয় করে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেটের ৫৭তম যৌথ সভায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ উল্লেখ করে আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চলতি বছরেই এই মওকুফের আওতাভুক্ত হতে পারবেন না। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত ব্যাপক সমালোচিত হওয়ার পর অবশেষে হল ও পরিবহন ফি মওকুফের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।