উপসহকারী প্রকৌশলীকে পিটালেন ঠিকাদার

 প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২২, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ



মোস্তাফিজুর রহমান (লালমনিরহাট) : 

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ঠিকাদারী কাজের অগ্রিম বিল না দেয়ার ঘটনায় এক সহকারী মাঠ প্রকৌশীকে পিটালেন যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সেলিম । শহিদুল ইসলাম উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় হামলার শিকার হলেন এলজিইডি বিভাগের প্রভাতি প্রজেক্টের  সহকারী মাঠ প্রকৌশলী এসএম হাদিউজ্জামান আশিক। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এলজিইডি বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার  শিংগীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গড্ডিমারী ডাঙ্গাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রংপুরের তাহিদি ইন্টারপ্রাইজ।কিন্তু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ওই ঠিকাদারী কাজটি নেয় যুবলীগ নেতা ও মা আমিনা ইন্টারপ্রাইজের প্্েরাপাইটার শহিদুল ইসলাম সেলিম।তিনি উক্ত কাজের ১০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করে অগ্রিম ৭ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলন করার পর আর কোন কাজ না করে আবারো ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম বিল উত্তোলন করার দাবী করেন। কিন্ত ওই কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসিদুল ইসলাম নিয়ম না থাকায় ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলনের সুপারিশ করতে অপারগতা দেখায়।রোববার দুপুরে অগ্রিম বিল না দেয়ার কারনে এলজিইডি’র স্থানীয় অফিসকক্ষে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম।তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ঠিকাদার সেলিম চড়াও হয় উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসিদুলের উপর। এতে অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বাধা দিলে সেলিমের ক্ষিপ্ত আরো বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে হাসিদুলের উপর মারমুখি আচরণ দেখালে স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। পরে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের অফিস কক্ষে এক আপোষ মীমাংসা বসে ও ওই ঘটনার মীমাংসা হয়ে যায়।কিন্তু ওই দিন বিকেলে অফিস থেকে কাজ করতে মাঠে বের হয় প্রভাতি প্রকল্পের সহকারী মাঠ প্রকৌশলী এসএম হাদিউজ্জামান আশিক।স্থানীয় উপজেলা পরিষদ গেটের সামনের সড়কে আসতে দেখে ওই ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সেলিম লোকজন নিয়ে আশিকের উপর হামলা চালায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। টনক নড়ে এলজিইডি কর্মকর্তা নজির হোসেনের । অবশেষে বাধ্য হয়ে উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন মঙ্গলবার ভোরে আশিককে স্থানীয় থানায় নিয়ে যায় এবং একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।ঠিকাদার শহিদুল ইসলামের ০১৭২২৪১৬৬১৩ নং মুঠোফোনে বারংবার চেষ্টা করেও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।