স্বাধীনতার ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে : কাজিমউদ্দিন ধনু এমপি

এস.এম জাহাঙ্গীর আলম (ভালুকা ,ময়মনসিংহ) :
ভালুকা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে মেজর আফছার বাহিনীর প্রধান, মরহুম মেজর আফসার পুত্র, জননন্দিত সংসদ সদস্য কাজিমউদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য সবার কাজ করতে হবে। আর তা না হলে আমাদের সকল অর্জনই বিফলে যাবে।তাই মেজর আফসার সাহেব ভালুকা মুক্তির লক্ষে সে অবদান রেখে গেছেন তা নতুন প্রজন্মকে জানান দিতে হবে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ,সাংবাদিকদের লেখনি, কবিদের কথামালায় ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের গানের মধ্য দিয়ে।আর এই লক্ষ্যেই এবার ভালুকায় ৮দিনব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।এই আয়োজনকে সফল করার লক্ষে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের এগিয়ে আসতে হবে, কেন না মেজর আফসার এবং মুক্তিযুদ্ধ একক কোন দল কিংবা গোষ্ঠীর নয়। আমাদের সবার তাই সাংসদ তার বক্তব্যে এই কর্মসুচিতে অংশ নেয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান উনার বক্তব্যে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ভালুকা উপজেলা পরিষদ হল রুম মিলনায়তনে ৮দিনব্যাপী ভালুকা বিজয় মেলার এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দানকালেতিনি এই আহ্বান জানান ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভালুকা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট শওকত আলী,সহ-সভাপতি খাইরুল আলম মল্লিক,যুগ্নসম্পাদক,ওমর হায়াত খান নঈম সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল আলম ঢালী,নাজিমউদ্দিন,আব্দুল খালেক, ভালুকা সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান তুহীন, হালিমুন নেসা চৌধুরাণী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, আনোয়ারা নিনা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের সদস্য আফতাব উদ্দিন পাঠান. পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রশিদ মাস্টার, ভালুকা উপজেলা প্রেসক্লাব ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ভালুকা উপজেলা জেলা শাখার সভাপতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক এসএম জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আহ্বায়ক নুরে আলম সিদ্দিকী স্বপন, সাংস্কৃতিক কর্মী উসমান গনি তুহীন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামন মনির, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ভালুকা উপজেলা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক খন্দকার মুহাম্মদ শামীম, সাংস্কৃতিককর্মী আসাদুজ্জামান জামালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার খান।
প্রস্তুতি সভায় ৮ ডিসেম্বর ভালুকা মুক্ত দিবসের দিন থেকে মুক্ত মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ,আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ দিনব্যাপী বর্নীল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয় মেলা উদ্যাপন করার সিদ্ধাত্ব গ্রহন করা হয়।