পশুর নদীতে বাল্কহেড ডুবি, নিখোজ-৩

আলী আজীম (মোংলা, বাগেরহাট):
মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এমবি ফারদিন-১ নামের কয়লা বোঝাই একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। এতে ওই বাল্কহেডের তিন কর্মচারী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দরের হারবারিয়ার-৯ নম্বর বয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোংলা বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স টি হকের সুপারভাইজার মো. লোকমান হোসেন জানান, বন্দরের হারবাড়িয়া ৯ নম্বরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি এলিনা বি থেকে কয়লা বোঝাই করে রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এমবি ফারদিন ১ বাল্কহেডটি। ওই সময় বিপরীত দিক থেকে বন্দর ত্যাগ করার সময় বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি হ্যান্ডপার্কের সঙ্গে ধাক্কা লাগে কয়লা বোঝাই বাল্কহেডটির। এরপর ধীরে ধীরে বাল্কহেডটির পিছনের অংশ ডুবে যায়। এসময় ওই বাল্কহেডের দুই কর্মচারী ও এক আনসার সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো বাল্কহেডের তিন কর্মচারী নিখোঁজ রয়েছেন। বাল্কহেডটিতে একজন নিরাপত্তাকর্মীসহ ছয় জন নাবিক ছিলেন বলেও জানান লোকমান। হ্যান্ডিপার্ক জাহাজটি ১০ নভেম্বর টিএসপি সার নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছিল। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত মাল্টা পতাকাবাহী 'এলিনা বি' থেকে কয়লাবোঝাই করেছিল ফারদিন-১ বাল্কহেডটি।
লোকমান হোসেন আরও জানান, দুর্ঘটনার পর তিনি বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও বন্দরের সংশ্লিষ্ট শাখাকে জানিয়েছেন। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটিতে ৫০০ থেকে ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
বিদেশি জাহাজ এলিনা বি'র স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজ বলেন, সুপারভাইজার লোকমান হোসেনের কাছ থেকে দুর্ঘটনার বর্ণনা শুনেছি। নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। তবে বন্দর চ্যানেলের কার্যক্রম সচল আছে। জাহাজ চলাচলে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। ঘটনার পরপরই সেখানে মার্কিং বয়া স্থাপন করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। তবে দুর্ঘটনায় তিন জন নাবিক নিখোঁজের বিষয়টি আমার জানা নেই।