ফরিদপুরে কুমার নদে জালে আটকা পড়া বিলুপ্ত প্রায় ডলফিন প্রজাতির প্রানীকে হত্যা

নাজিম বকাউল (ফরিদপুর):
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কুমার নদে জেলের মাছ ধরা ভ্যাসালে ধরা পড়লো বিলুপ্ত প্রায় একটি ডলফিন প্রজাতীর প্রানী। এটি ধরা পড়ার পর জেলে ও এলাকাবাসী নির্মমভাবে বাঁশ, বেঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্রা করে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চৌকিঘাটা হাটের ব্রিজ সংলগ্ন একটি ভ্যাসালে এ প্রানীটি ধরা পড়ে। অনেকটা বিপদগ্রস্থ বিরল প্রজাতির এই প্রানীটি দেখতে সকাল থেকেই গ্রামের দুর-দুরান্ত থেকে শতশত নারী-পুরুষ নদের পাড়ে ভিড় করে। এটি দেখতে অনেকটা লম্বা মুখ ও লেজের পালক ডলফিনের মতই। স্থানীয়রা জানান,ওজনে ডলফিনটি প্রায় ৪ মনের কাছাকাছি। এটি দিক ভুলে অনেকটা কম পানিতে জেলের ভ্যাসালে আটকা পড়েছে।স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন জানান বিকেলে ভ্যাসালে প্রানীটি আটকা পড়লে ভ্যাসালের মালিক তাপস ও স্থানীয় কয়েক জন মিলে নির্দয়ভাবে এটিকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মাছ ব্যাবসায়ী মো.আব্দুল হাই জানান, সকালে কুমার নদে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী তাপসের ভ্যাসালে এই ডলফিন প্রজাতীর প্রানীটি ধরা পড়ে। পরে তার কাছ থেকে ওই ডলফিনটি এক হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন তিনি। যদি এটি শুশুক মাছ হয় তবে এ মাছের তেল সে সংরক্ষন করে রাখবে যা মানুষের শরীরে বিভিন্ন ব্যথা নিরাময়ক হিসেবে কাজ করে । তিনি প্রতিকেজি হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কুমার নদের মাঝ খানে কয়েক বছর পূর্বে এ জাতীয় প্রানী দেখতে পাওয়া যেত। বর্তমানে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া এবং শিকারীদের দৌরাতেœ মানুষের উপকারী মিঠা পানির এ প্রানিটি আজ নেই বললেই চলে॥ এ জাতীয় প্রানী সংরক্ষন ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনের আন্তরীক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,এটি একটি স্তন্যপায়ী ডলফিন প্রজাতীর প্রানী। এ জাতীয় প্রানী নিধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারসহ নদীতে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।