গৌরীপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

 প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২১, ১২:০৮ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ



শামীম খান (গৌরীপুর, ময়মনসিংহ): 


ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা  গৌরীপুর ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ইউএনও হাসান মারুফ বলেন স্কুলছাত্রীকে  যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 
এর আগে ২০১৫ সালের মার্চে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। ওই বছরই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির অপর এক ছাত্রীর সাথে শিক্ষক রফিকুল অশালীন আচরণ করায় ওই ছাত্রীর বাবা বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র নিয়ে মেয়েকে অন্যত্র ভর্তি করান। এছাড়াও ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রশপত্র ফাঁসের অভিযোগে রফিকুলের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি পার পেয়ে যান এমন অভিযোগ স্থানীয় ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের।
পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম পৌর শহরের শহীদ মঞ্জু সড়ক এলাকায় নিজ বাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ান। গত রোববার (৩১ অক্টোবর) ওই ছাত্রী শিক্ষক রফিকুলের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায়। এসময় শিক্ষক রফিকুল ওই ছাত্রীর শরীর ঘেঁষে বসে তার সাথে অনৈতিক আচরণ করেন। পরে ওই ছাত্রী বাসায় ফিরে পরিবারকে ঘটনা জানালে তার বাবা বিচার চেয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, একজন শিক্ষকের নিকট থেকে এমন আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। এ ঘটনার তদন্ত চলছে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে পত্র দেওয়া হয়েছে।
সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া ইসলাম ডলি বলেন ২০১৫ সালে সহকারি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করায় তার বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। ওই সময় যদি কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিত আজ এই ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হত না।
গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস বলেন স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা শোনেছি। এই ধরণের অভিযোগ শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পূর্বেও উঠেছিল। এসব ঘটনায় বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও বিব্রতবোধ করছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি  ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন বলেন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।