হাতীবান্ধায় গুচ্ছ গ্রামের ঘরে থাকতে বাধা অমান্য করায় গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ

 প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১২:১২ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ



হাতীবান্ধায় গুচ্ছ গ্রামের ঘরে থাকতে বাধা অমান্য করায় গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ
 মোস্তাফিজুর রহমান (লালমনিরহাট) : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা গুচ্ছ গ্রামের সরকারি ঘরে বসবাসরত ভ‚মিহীন পরিবারকে থাকতে বাধা, অতপর বাধা অমান্য করা মদিনা আক্তার নাজমা(২৭) নামে এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানী ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই গৃহবধূ বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রামের গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বামী মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার মৃত কছিমুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম(৫৫) ও নজরুলের ছেলে ছাইয়াকুল(৩৪)।জানা গেছে, ভুমিহীন মনোয়ার হোসেন স্ত্রী নাজমা ও ছোট্ট শিশু সন্তানকে নিয়ে গুচ্ছ গ্রামের সরকারি ঘরে বসবাস করেন। আর সেই ঘরে থাকতে বাধা দিয়ে আসছেন অভিযুক্তরা। কিন্ত অভিযুক্তদের বাধা মানেননি তারা। এরই মধ্যে মনোয়ার বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী-সন্তান একাই ছিলেন। সেই সুযোগে মঙ্গলবার সকালে ওই গুচ্ছ গ্রামে মনোয়ারের বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূকে নাজমাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে নাজমাকে বেধরক মারধর শুরু করে। এ সময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে নাজমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান।  মঙ্গলবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মারধরের শ্বীকার ওই গৃহবধূ নাজমার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের কোন জমি ছিলো না। সরকার থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দিছেন। কিন্ত অভিযুক্তরা প্রায় সেখান থেকে চলে যেতে বলে। তাদের কথা না শোনায় আমাকে একা পেয়ে মারধর করে। এমনকি আমার শ্লীলতাহানীর চেষ্টাও করেন।  এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাইয়াকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই ঘর নিয়ে নয়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া। তবে তাকে কোন মারধর করা হয়নি। ওরা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা। 
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম হাসান নয়ন বলেন, আহত ওই গৃহবধূকে ভর্তি করানো হয়েছে। এছাড়া তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, বিষয়টি জানা নেই। এছাড়া ওই ঘর গুলোয় যারা থাকেন তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।