বদলাচ্ছে মোংলা বন্দর,বাড়ছে কর্মসংস্থান
আলী আজীম (মোংলা, বাগেরহাট):
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিপুল সংখ্যক শিল্প-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের শিল্প বাণিজ্য অপার সম্ভাবনার নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা। ইকোনমিক জোন, ইপিজেড ও বন্দর কেন্দ্রিক শিল্পোন্নয়নের কারনে পাল্টে যাচ্ছে পুরো মোংলা বন্দরের চেহারা। বাড়ছে কর্মসংস্থান। মোংলা ইকোনমিক জোন চালু হলে নতুন করে অন্তত ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং ইপিজেডে আরো কয়েকটি কারখানা দ্রুত উৎপাদনে আসবে এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে প্রতিবছরই মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছরের ৯ মাসে এ বন্দরে মোট জাহাজ এসেছে ৬৭৫ টি। বন্দরের পশুর চ্যানেলে এখন সারি সারি জাহাজ। সেখানে কাজ করছে অসংখ্য শ্রমিক।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীরা প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, বিভিন্ন সংকট কাটিয়ে মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতি ফিরেছে। বন্দরের সুবিধাদি বৃদ্ধির জন্য ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এদিকে, পদ্মা সেতু ও খুলনা-মোংলা রেললাইন এবং রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়ায় মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক দেশের শিল্প-বাণিজ্যের সম্ভাবনার নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে শুরু করেছে নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। এতে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে গোটা বন্দর এলাকা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত মোংলা বন্দর ৪৯৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে। এ সময় বন্দরে তিন হাজার ৭০০টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, ২০০৯ সালের শুরুতেই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ লক্ষ্যে মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে কার্যক্ষম ও কর্মচঞ্চল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বন্দরের নাব্য সংকট কাটিয়ে উঠেছি। এখন বন্দরের হারবাড়িয়ায় সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারছে। আগামী বছরের প্রথম থেকেই বন্দরের মূল জেটিতেও এসব জাহাজ ভিড়তে পারবে।