কৃত্রিম ফুলের দখলে বাজার, আগ্রহ হারাচ্ছে কালীগঞ্জের ফুল চাষিরা

 প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫০ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ


নিয়ামত উল্লাহ (কালীগঞ্জ ,ঝিনাইদহ) : 
 বিভিন্ন দিবস বা ঘর সাজাতে জীবন্ত ফুলের ব্যবহার দীর্ঘ দিন যাবৎ চলে আসছে।বর্তমানে বাজারে কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ফুল চাষিদের। ফলে কালীঞ্জের ফুল চাষিরা ফুল চাষ ছেড়ে দিয়ে সবজি আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। জানা গেছে , ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচানপুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা , বানুড়িয়া , আজমত নগর , ও এক্তারপুর গ্রামে অধীকাংশ চাষি ফুল চাষ করে আসছিল। কালীগঞ্জ উপজেলার ফুল দেশের বিভিন্ন অ লে সরবরাহ করা হয়। কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ফুল চাষি শরিফুল ইসলাম ১০/১২ বছর যাবৎ ফুল চাষ করে আসছেন। প্রতি বছর ফুল চাষ করে জমির খাজনা , সার , বীজ , কীটনাষক ও শ্রমিকের মজুরী সহ সকল খরচ বাদ দিয়ে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা তার আয় হতো। প্লাস্টিকের ফুল আমদানী হওয়ায় বাজারে তাজা ফুলের চাহিদা কমে গেছে। ফলে এ বছর ফুল চাষে তার ৫০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। একই পরিমান জমিতে এ বছর নানা জাতের ফুল চাষ করে করোনার কারনে ২১ ফব্রুয়ারী পর্যন্ত  ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছে। জমিতে তার আরো ৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। এতে তার লোকসান হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। 
       সরে জমিনে দেখা গেছে , গত বছর যেখানে মাঠ ভরা ফুলের চাষ দেখা গেছে সেখানে এ বছর ফুলের চাষ কম হয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা কয়েক যুগ ধরে ফুলের আবাদ করে জীবন – জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। প্লাস্টিকের ফুল বাজার দখল করায় গ্রামের ফুল চাষিরা মুনাফা অর্জন করতে পারছে না। প্লাস্টিকের ফুল আমদানী বন্ধ না হলে এক দিন এই শিল্প ধ্বংশ হয়ে যাবে। করোনা ও প্লাস্টিকের ফুলের কারনে তাজা ফুলের দাম কমে যাওয়ায় এ বছর ফুল চাষিদের লোকসান গুনতে হয়েছে। 
        কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, করোনা ও প্লাস্টিকের ফুল বাজার দখল করায় তাজা ফুলের চাহিদা কমে গেছে। ফলে ফুল চাষিরা ফুল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। আমরা ফুল চাষিদের সার্বক্ষনিক উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।