৯৯৯ এ কলে সোনাদিয়া থেকে ১৪ পর্যটক উদ্ধার ১ নিখোঁজ

 প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২১, ০৮:২০ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ



হ্যাপি করিম (মহেশখালী) : 
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়ার পশ্চিম প্রান্তে সমুদ্রে আটকে পড়া ইঞ্জিন বোটের এক পর্যটকের ফোন কলে ১৪ উদ্ধার ও ১ নিখোঁজে মহেশখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি উদ্ধার তৎপরতার খবর পাওয়া গেছে।

কক্সবাজারের খুটাখালী থেকে ১৫ জনের বন্ধু মিলে সোনাদিয়া দ্বীপে ভ্রমনে যান। সোমবার ৪ অক্টোবর সকাল ৯টায় একটি ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে সোনাদিয়া দ্বীপে বেড়াতে যায়।

এ নৌকা ডুবিতে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করে সোনাদিয়ার স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ঘটনা সুত্রে প্রকাশ ও জীবিত উদ্ধার হওয়া লোকজনের ভাষ্যমতে কক্সবাজার সদরের খুটাখালী ইউনিয়ন এর বাঘকুম গ্রামের ১৫ জন বন্ধু ৪ অক্টোবর সকাল ৯টায় একটি ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে সোনাদিয়া দ্বীপে বেড়াতে আসেন। দুপুরের খাবার শেষে নৌকা নিয়ে পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জাহাজ দেখে,ফেরার পথে সাগরের মাঝ পথে বরোদিয়া নামক স্থানে বালির চরে আটকা পড়লে নৌকাটিকে বালি থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা বিফলে, ভাটার টানে নৌকাটি সাগের মাঝ খানে চলে গেলে,  কুলে চেলে আসতে ডুবন্ত খালে পড়ে গিয়ে বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করতে করতে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে তাদের উদ্ধারের অনুরোধ করেন।

৯৯৯ জরুরি সেবা তাৎক্ষণিকভাবে নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কক্সবাজার সদর নৌ পুলিশ মহেশখালী থানা কে অবহিত করে দ্রুত উদ্ধারের  মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাফুজুর রহমান, মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই, ওসি তদন্ত আশিক ইকবাল, কুতুবজোমের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকনে হস্তক্ষেপে সোনাদিয়া এলাকার সেচ্চাসেবী গিয়াস উদ্দিন একটি ফিশিং বোট এ করে উদ্ধার কাজে দ্রুত এগিয়ে যায়। রাত অনুমান ১১টার দিকে বরোদিয়া নামক স্থান থেকে বিপদের অবস্থান থেকে ১৪ জন কে জীবিত উদ্ধার করতে পারলে ও শাকিব হাসান নামের একজন কে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন সোনাদিয়ার নবনির্বাচিত মেম্বার একরাম মিয়া, ঘটিভাঙ্গার সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন খোকা সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। 

উদ্ধার হলেন... কক্সবাজারের  চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাঘকুম পাড়া গ্রামের আব্দুল গনীর পুত্র নুরুল আলম, জালাল আহাম্মদের পুত্র বেলাল (৩০) ইউচুপ জালালের পুত্র আব্দুশুকুর(২৭) মমতাজ আহাম্মদের পুত্র কবির আহাম্মদ(৫১) জালাল আহাম্মদের পুত্র মামুনর রশিদ(২৩) আবুল খায়ের এর পুত্র টিটু(২৪) লেয়াকত আলীর পুত্র বাবুল(২৬) শামসুল আলমের পুত্র তৌহিদ(৩০), মো আলীর পুত্র ইসমাইল(২৫), রমজানুল হকের পুত্র ইনজামামুল হক(২৭), শওকত আলীর পুত্র খোরশেদ আলম(৩৪) মো আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ(৩২) আব্দুর রহিমের পুত্র মোঃফারুক(২৪) ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র আসাহাব উদ্দিন(৩৩) নিখোঁজ জাফর আলমের পুত্র  শাকিব হাসান (২৩)। ১৪জন জীবিত উদ্ধার ও ১জন নিখোঁজ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহাফুজুর রহমান জানান, সংবাদ পাওয়া পর পরই দ্রুত জীবিত উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করার কারনে ১৪ জনকে ফিরে পেলে এখনো ১জন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সাগর থেকে উদ্ধার পর্যটকদের মহেশখালী থানা পুলিশের উপস্থিতে ঘটিভাঙ্গা সাইক্লোন সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার দেওয়া হয়।