মাস্টার্স পরীক্ষা দেওয়া হল না রূপসার সালমানের, পিটিয়ে হত্যা করা হলো চোর অপবাদে

 প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ


মোশারফ হোসেন (রুপসা) : আট দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সালমান নোমে এক কলেজ ছাত্র। সে রূপসার সামন্তসনা গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে । এঘটনা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা কলেজ ছাত্রের হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন উপজেলা পরিষদের সামনে সোমবার দুপুরে।
জানাযায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর রাত এগারোটায় রায়েরমহল এলাকায় সালমান (২৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। ঐদিন সন্ধ্যায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রূপসা থেকে যশোর এম এম কলেজে পরীক্ষা দিতে যাবে এ জন্য আড়ংঘাটা থানা এলাকায় রায়ের মহল পশ্চিমপড়ায় এলাকায় বন্ধু রোমান খন্দকারের বাড়িতে আসেন। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয়,জাহাঙ্গীর, আলমগীর, রব ,দিপু ও পিন্টু খন্দকার ওত পেতে থাকে। সালমান রাত ১০ টার দিকে এলাকায় ঢুকলেই প্রথমে তাকে ডাক দিয়ে তাকে চোর বলে ধাওয়া করে ধরে গণপিটুনি দেয়। এ সময় তার মাথায় ইট দিয়ে, পিটিয়ে তার হাত, পা ও পাঁজরের হাড় ভেঙে দেয় এবং মাথায় আঘাত করলে বমি হতে থাকে। প্রথমে স্থানীয় লোকজন ধরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তির ৮ দিন পর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। নিহত সালমান এর ভাই মো: শাহিন শেখ বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় ৫জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা নম্বর ৬।
আসামিরা হল আজিম খন্দকারের ছেলে জাহাঙ্গীর খন্দকার ,আলমগীর খন্দকার, আব্বাস খন্দকারের ছেলে দিপু খন্দকার, রাব্বানী খন্দকারের ছেলে পিন্টু খন্দকার, এবং রব খন্দকার। এ ঘটনায় সালমানের গ্রামের লোকজন উপজেলাবাসি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজ শিক্ষক আহমেদুল কবির চাইনিচ, আওয়ামীলীগে নেতা আ. মজিদ ফকির, মোরশেদুল আলম বাবু, আলহাজ্ব সোহেল জুনায়েদ, হাবিবুর রহমান, মাসুম শেখ, অহিদ ফকির প্রমূখ।