সহকর্মী আক্রান্ত, করোনা পরীক্ষা করাতে পারেননি ১১ শিক্ষক
আলী আজীম (মোংলা, বাগেরহাট):
স্কুল খোলার আগেই দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন মোংলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক পুলিন কুমার মন্ডল (৪০)। তারপরও তিনি করোনায় আক্রান্ত হন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে ভালো রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নরেশ চন্দ্র হালদার। প্রধান শিক্ষক নরেশ চন্দ্র হালদার জানান, শিক্ষক পুলিন কুমার মন্ডল গত ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে একটি কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বুধবার সকালে তিনি বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ে আসার পর তার শরীরে হালকা জ্বর অনুভবসহ কাশি হয়। তখন তাকে ক্লাসে যেতে না দিয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
নরেশ চন্দ্র হালদার বলেন, তিনি কিভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, ভোট কেন্দ্র থেকে নাকি তার পরিবার থেকেই তা জানা যাচ্ছে না। তার স্ত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা সুচন্দারও একই দিনে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তাই স্ত্রীর থেকেও তার করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শিক্ষক পুলিনসহ বিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষকের সবার দুই ডোজ করে করোনার টিকা নেওয়া রয়েছে।
এদিকে শিক্ষক পুলিন কুমার মন্ডল করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অন্য ১১ জন শিক্ষকেরও করোনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরিয়ে দিয়ে শনিবার আসতে বলে। এতে শিক্ষকদের মাঝে শঙ্কা বিরাজ করছে।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এ আনোয়ারুল কুদ্দুস জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তিন দিনের আগে পরীক্ষা করলে সঠিক রিপোর্ট নাও পাওয়া যেতে পারে। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে। এটা টেকনিক্যাল বিষয়। আমরা বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছি।