গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে জনমনে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ

 প্রকাশ: ২০ জানুয়ারী ২০২২, ০৪:২২ অপরাহ্ন   |   সম্পাদকের কথা


এহছান খান পাঠান: 
করোনা মহামারির এই সঙ্কটসময়ে দেশের মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত। নিত্যপণ্যের দামের উর্ধ্বগতি, কর্ম হারানো, সুযোগ কমে আসাসহ নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে জনগণকে। এই অবস্থার মধ্যে খবর এসেছে, দেশের গ্যাস বিতরণকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খাতভেদে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বা তারও বেশি হারে বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। প্রতি ঘনমিটার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি খরচ, মুসক, অগ্রিম আয়কর, ফিন্যান্সিং চার্জ, ব্যাংক চার্জ, কমিশন, রি-গ্যাসফিকেশন চার্জ, ভোক্তা পর্যায়ে উৎসে কর সব মিলিয়ে বাড়তি মূল্য বিতরণ কোম্পানির ওপরে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যে কারণে ভোক্তা পর্যায়ে দাম না বাড়িয়ে বিকল্প উপায় দেখছে না বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। অথচ গত অর্থবছর বিতরণকারী ছয় কোম্পানি মোট মুনাফা করে প্রায় এক হাজার ১৮১ কোটি টাকা। তারপরেও কেন ও কী পরিস্থিতিতে এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব? তা কিন্তু পরিষ্কার নয়। এরপরও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়াতে সামাজিক মাধ্যমসহ জনমনে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গতবছর থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের চলমান সঙ্কটগুলোকে মাথায় রেখে এই দামবৃদ্ধি থেকে সরে আসা উচিত। বরং ওইসব কোম্পানিগুলোর মধ্যে থাকা দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধ করা সহ সম্পদের সঠিক ব্যবহার করে কীভাবে ভর্তূকির চাপ কমানো যায়, তা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা চিন্তা করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
)এহছান খান পাঠান, নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক অর্থনীতির কাগজ)